তানোরে ধর্ষণ মামলার আসামীকে আটকের দাবিতে মানববন্ধন, ২৪ ঘন্টার আলটিমেটাম 

রাজশাহী
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে ধর্ষন মামলার মুল আসামী জনিকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরের আগে থানা মোড়ে  জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও পারগানা পরিষদ এবং উত্তর বঙ্গ আদিবাসী ফোরামের আয়োজনে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন   কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে ডাকবাংলো থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে পারগানা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মি: রমেশ মুরমুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুসোন্না, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিমল চন্দ্র রাজোয়াড়, উত্তর বঙ্গ আদিবাসী ফোরামের সভাপতি  হিংগু মুরমু, সাধারণ সম্পাদক হিমু মুরমু, পারগানা পরিষদের কলমা ইউপির সভাপতি পিলিপ হেমরম,তালন্দ ইউনিয়ন সভাপতি জেঠা টুডু, ভিকটিমের পিতা,শুকুমার কিস্কু, উত্তর বঙ্গ শিশু উন্নয়ন প্রকল্পের ম্যানেজার গণেশ মার্ডি,ভাষা গবেষক অভিলাশ বিশ্বাস, রুলফাও তানোর আঞ্চলিক  এনজিওর সুপার ভাইজার শুম্ভনাথ দাস, সিনিয়র ওয়ার্কার আব্দুর রহমান, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ নেতা ছোটন সরদার, মহিলা সদস্য শেফালী হেমরম প্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে ধর্ষনকারী জনিকে দ্রুত আটকের দাবি জানান। শুধু তাই না মামলা তুলে নিতে ভিকটিম ও তার পরিবারকে নানা ভাবে হুমকি প্রদর্শন করছেন আসামীর পরিবার। ধর্ষনের সহযোগী আলীকে গ্রেফতার করতে পারলেও মুলহোতা জনিকে গ্রেফতার করতে পারেন নি পুলিশ। দ্রুত সময়ের মধ্যে জনিকে আটক করতে না পারলে আমাদের আন্দোলন জোরতাল ভাবে চলবে বলেও হুশিয়ারি দেন। গত মাসের ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার ধর্ষনের ঘটনার এত দিন হলেও কেন মুল আসামী আটক হয়নি বলেও প্রশাসনকে জবাব দিতে বলেন। অথচ ঘটনার চারদিন পর সহযোগী আলীকে ঢাকা থেকে আটক করল পুলিশ। কিন্তু জনিকে কেন আটক করতে পারছেন না। এসময় আদিবাসী সম্প্রদায়ের জনসাধারণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থার লোকজনরা উপস্থিত ছিলেন।
ওসি আব্দুর রহিম বলেন,  একজন আসামী কে গ্রেফতার করা হয়েছে অপরজনকে গ্রেফতারে জোর অভিযান চলছে,  দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকেও গ্রেফতার করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত মাসের ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার কলমা ইউপির আদিবাসী সাওতাল নাবালিকা নারী তার ভাইকে নিয়ে খাড়ির পার্শ্বে খাস কাটতে যান। এসময় পার্শের জমিতে কাজ করছিল কলমা ইউপির শালবাড়ি গ্রামের মোহাম্মাদ আলী ও জনি। মোহাম্মদ  ওই নারীর ভাইকে বেধে রাখেন আর আলেক চানের পুত্র জনি ধর্ষণ করেন। ওই দিন রাতই ওই নারী পিতা থানায় মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আটক হন মোহাম্মদ আলী। কিন্তু ধর্ষনকারী এখনো আটক হয়নি।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *