শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসের জামিন

জাতীয় লীড

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় চ্যালেঞ্জ করে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের আপিল গ্রহণ করা হয়েছে। আজ রোববার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল গ্রহণ করে চারজনকে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন আদালত।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, আপিল দায়ের করার পর শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আপিলটি গ্রহণ করেন এবং চারজনকে জামিন দেন।

আইনজীবী আরও বলেন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা মামলার রায় চ্যালেঞ্জ করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা হয়। একই সঙ্গে চারজনের জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়।

এর আগে ড. ইউনূসসহ চার বিবাদী সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আসেন।

মামলায় গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সাজাপ্রাপ্ত অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকেই এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের নামে এ মামলা করেন।

মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনে অভিযোগ আনা হয়।

মামলাটি ২০২১ সালে দায়ের হওয়ার পর এটা বাতিলের জন্য ড. ইউনূস হাইকোর্টে আবেদন করেন। একই বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

২০২২ সালের ১৭ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলা বাতিলে ইউনূসের আবেদনে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন। এরপর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আপিল বিভাগে আবেদন করেন। আপিল বিভাগ গত বছরের ৮ মে ড. ইউনূসের আবেদন খারিজ করে দেন।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *