বাঘায় অন্তঃসত্বা গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, আত্মহত্যার  দাবি মেনে নিতে পারছেন না গৃহবধুর পিতা

রাজশাহী লীড

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় দিঘা গ্রাম থেকে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গৃহবধু রোকাইয়া ইয়াসমিন-ইরা (২৩) সেনা সদস্য নাছিম আহমেদ পাভেলের স্ত্রী। সে ৪মাসের অন্তঃসত্তা। ৮ মাসের ১টি কণ্যা সন্তানও রয়েছে ইরা-পাভেল দম্পত্তির। পুলিশ জানায় সোমবার (১১ মার্চ) রাতে গৃহবধুর স্বামীর বাড়ির শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় উড়না প্যাঁচানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্নয়ের জন্য মঙ্গলবার (১২-০৩-২০২৪) মরদেহ রামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার পর আত্মগোপনে রয়েছে গৃহবধুর স্বামী।

জানা যায়, ২বছর আগে বাঘা উপজেলার দীঘা নওদাপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সেনা সদস্য নাছিম আহম্মেদ পাভেল (৩৭) এর সাথে বিয়ে হয় লালপুর উপজেলার শোভ গ্রামের ইয়াসিন আলীর মেয়ে রোকাইয়া ইয়াসমিন-ইরার। বিয়ের পর বাবা-মার বাড়িতে যেতে না দেওয়ায় দীর্ঘদিন স্বামীর বাড়িতেই থাকতে হয়েছে তাকে।
সোমবার (১১ মার্চ) ওইদিন মেয়ে-জামাইকে নিতে আসেন অন্তঃসত্তা রোকাইয়া ইয়াসমিন-ইরার বাবা-মা। কিন্তু তাকে (গৃহবধু ) না পাঠিয়ে তার পিতা মাতাকে অপমান করে জামাই ও পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে স্বামী ও পরিবারের লোকজনের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয় ইরার।

গৃহবধুর পিতা ইয়াসিন আলী জানান, অনেকদিন থেকে মেয়েকে যেতে দেয়নি। ছুটিতে জামাইর আসার খবরে মেয়ে-জামাই নিতে আসেন তিনি ও তার স্ত্রী নাছিমা বেগম। কিন্তু সেদিনও না পাঠিয়ে আমাদেরকে অপমানিত করে জামাই ও তার পরিবার। তারা মেয়েকে রেখে নিজ গ্রামে চলে আসেন। তারাবির নামাজ শেষে পাভেল এর পিতা আবুল হোসেন মুঠোফোনে জানান তার মেয়ে নাকি আতœহত্যা করেছে। পরে সেখানে গিয়ে পরস্পর জানতে পারেন,তাদেরকে অপমানের প্রতিবাদ করার কারণে মেয়েকে নির্যাতন করা হয়েছে। তার দাবি তারা, আত্মহত্যা বলে প্রচার করলেও আমরা তা বিশ্বাস করে মেনে নিতে পারছিনা। বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।

ইরার চাচা রাসেল আহম্মেদ জানান,অনার্স পাশের পর ভাতিজি রোকাইয়া ইয়াসমিন-ইরার বিয়ে দেন বাবা-মা। দাম্পত্ত জীবনে ৮মাসের কণ্যা সন্তান রয়েছে। ৪মাসের অন্তঃসত্তাও। তার জিজ্ঞাসা সুখের সংসারে আগুন জ্বালালো কে?

নাছিম আহম্মেদ পাভেল আত্মগোপনে থাকায়, তার পিতা আবুল হোসেন দাবি করেন,গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে। এর কারণ জানতে চাইলে পরে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আমিনুল ইসলাম জানান, মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মঙ্গলবার সকালে মরদেহ রামেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি। বিষয়টি নিয়ে গৃহবধুর পিতা লিখিত অভিযোগ করেছেন।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *