ক্রীড়া ডেস্ক: দুপুর গড়িয়ে পড়ন্ত বিকেলে করা সংবাদ সম্মেলনে ক্রীড়ামোদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, আইসিসির সিদ্ধান্ত যাই আসুক, সাকিব আল হাসানের পাশে থাকবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। পরে রাতে সাকিবকে পাশে রেখে করা সংবাদ সম্মেলনে একই কথা উচ্চারিত হয়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কণ্ঠেও।
আইসিসির দেয়া নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কিছুই করার নেই বিসিবির। কেননা এ বিষয়টি পুরোপুরি আইসিসির অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিককিউরিটি ইউনিটের অধীনে। তাই বিসিবি নিষেধাজ্ঞা কমানো বা সাকিবের পক্ষে আইনি লড়াই চালানোর এখতিয়ার বহন করে না।
তবে মানসিকভাবে সাকিবকে পূর্ণ সমর্থন এবং ক্রিকেটে ফেরার ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা বিসিবির পক্ষ থেকে দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। সাকিব যেকোনো সময় বিসিবির সকল সুবিধাদি ভোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আকরাম।
সাধারণত আইসিসি বা বোর্ডের নিষেধাজ্ঞায় থাকা খেলোয়াড়রা বোর্ডের কাছ থেকে কোনো লজিস্টিক সাহায্য পায় না। যেমনটা হয়েছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের ক্ষেত্রে। ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিসিবির কোনো কিছুই ব্যবহার করতে পারেননি তিনি। নিজের প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি নিজ গরজেই সারতে হয়েছিল আশরাফুলকে। মূলত সকল নিষিদ্ধ ক্রিকেটারকে এটিই করতে হয়।
তবে এবার সাকিবের ক্ষেত্রে নমনীয় অবস্থানে বিসিবি। আগামী ১ বছর নিষেধাজ্ঞায় থাকা অবস্থাতেও নিজের ফিটনেস ও স্কিল ধরে রাখতে, বিসিবির জিমনেশিয়াম, মাঠ কিংবা অন্যান্য সকল সুবিধাদি ভোগ করতে পারবেন সাকিব।
তিনি নিজে যেমন সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, এক বছর নিষেধাজ্ঞার পর আরও শক্তভাবে ফিরতে চান ক্রিকেটে, তেমনি তার ফেরাটা সহজ করার লক্ষ্যেই মূলত এমন উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। তবে সাকিব আগামী দিনগুলোতে কী করবেন, কী হবে তার পরিকল্পনা- সে বিষয়ে এখনও অজ্ঞাত সবারই। সূত্র: জাগো নিউজ।
স্ব.বা/শা