গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশের মেয়েরা

খেলাধুলা

স্বদেশ বাণী ডেস্ক: নিগার সুলতানার দারুণ এক ইনিংস এনে দিয়েছিল লড়াইয়ের পুঁজি। পরে বল হাতে জ্বলে উঠলেন বোলাররা। ফিল্ডিং হলো অসাধারণ। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জয়ের হ্যাটট্রিক করল বাংলাদেশ।

আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মঙ্গলবার ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ১৩ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। টানা তিন জয়ে গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে সালমা খাতুনের দল।

স্কটল্যান্ডের ডান্ডিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ১৭ ওভারে ৪ উইকেটে ১০৪ রান করার পর নামে বৃষ্টি। ইনিংস থামে ওখানেই। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে স্কটল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮ ওভারে ৬৩ রান। স্বাগতিকরা করতে পারে ৬ উইকেটে ৪৯।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। দলীয় ১৬ রানেই ফেরেন সানজিদা ইসলাম (৪)। দ্বিতীয় উইকেটে মুর্শিদা খাতুন ও নিগার সুলতানা যোগ করেন ৩১ রান। মুর্শিদা ২৭ বলে ২৬ রান করে স্টাম্পড হলে ভাঙে এ জুটি।

এরপর রিতু মনি বেশিক্ষণ টেকেননি। চতুর্থ উইকেটে ফারজানা হকের সঙ্গে ৩৯ রানের আরেকটি কার্যকরী জুটি গড়েন নিগার। ফারজানা ২২ বলে ২৩ রান করে ফেরার তিন বল পরই নামে বৃষ্টি। ৩৭ বলে ৩ চারে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন নিগার।

স্কটল্যান্ডের হয়ে ক্যাথরিন ব্রুস ১৩ রানে ও আবতাহা মাকসুদ ২০ রানে নেন ২টি করে উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় স্কটল্যান্ডের অধিনায়ক ক্যাথরিন ব্রুস ছাড়া আর কেউ নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। স্বাগতিকরা উইকেটও হারিয়েছে নিয়মিত বিরতিতেই। দ্বিতীয় ওভারে সারাহ ব্রুসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন নাহিদা আক্তার।

লরনা জ্যাককে টিকতে দেননি রিতু। ষষ্ঠ ওভারে ফাহিমা খাতুনের পাঁচ বলের মধ্যে রান আউটে কাটা পড়েন রাচেল হকিংস ও বেকি গ্লেন। পরের ওভারে রান আউট হন রুথ উইলসও।

একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার ব্রুসও ফেরেন পরের বলেই ক্যাচ দিয়ে, খাদিজা তুল কুবরার শিকার হয়ে। শেষ ওভারে ১৯ রানের প্রয়োজনে স্কটিশরা নিতে পারে মাত্র ৫। ব্রুসের ২১ ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি।

নাহিদা, রিতু ও ফাহিমা নেন একটি করে উইকেট।

বৃহস্পতিবার প্রথম সেমিফাইনালে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। একই দিন দ্বিতীয় সেমিফাইনালে লড়বে ‘বি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন থাইল্যান্ড ও ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ পাপুয়া নিউগিনি।

ফাইনাল হবে ৭ সেপ্টেম্বর। ফাইনালে ওঠা দুই দল আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *