মধুর প্রতিশোধে প্লে-অফে ঢাকা

খেলাধুলা

স্বদেশ বাণী ডেস্ক : চলমান বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের নিজেদের দ্বিতীয় মোলাকাতে জেমকন খুলনার বিপক্ষে ব্যাট ও বল দুই বিভাগেই দাপট দেখিয়েছে বেক্সিমকো ঢাকা। ব্যাট হাতে সাব্বির-নাঈম-আকবরদের পরে বল হাতেও দলের ভরসার প্রমাণ দেন রবি-মুক্তাররা। দলগত নৈপূণ্যে খুলনাকে ২০ রানে হারিয়ে প্লে-অফও নিশ্চিত করল মুশফিকুর রহিমের দল।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে বেক্সিমকো ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ১৭৯ রান। এদিন সাব্বির রহমানকে নিয়ে উদ্বোধন করতে নেমে সাকিব আল হাসানের ওপরে চড়াও হয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ২৬ রান সংগ্রহ করেন মোহাম্মদ নাঈম। ১৭ বলে ৩৬ রান করে শহিদুল ইসলামের শিকার হন তিনি। আর দলে যোগ দিয়েই আল আমিন জুনিয়র কাজে লাগান পাওয়া সুযোগটা। এই তরুণের ব্যাট থেকেও আসে ৩৬ রান ২৫ বলে।

এরপরে নাঈমের মতোই এক ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকান আকবর আলিও। তার আক্রমণে বিধ্বস্ত হন নাজমুল ইসলাম অপু। মাত্র ১৪ বলে ৩১ রানের ক্যামিও দেখান বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক। এরপরে আর কেউ বলার মতো রান করতে না পারলেও একপ্রান্ত আগলে ছিলেন সাব্বির রহমান রুম্মন।

ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা এই মারকুটে রান পেয়েছেন এদিন। আউট হওয়ার আগে করেন ৩৮ বলে ৫৬ রান। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার মার। যাতে ১৭৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় ঢাকা।

খুলনার হয়ে এদিন ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় একটি উইকেট শিকার করেন মাশরাফি। হাসান ২৩ রানে ১টি ও শহিদুল ৩১ রান খরচে নেন ২টি উইকেট। অন্যদিকে, প্রথম ওভারে কেবল ৩ রান খরচ করার পরেও ৪ ওভার শেষে ৫১ রান খরচ করেন অপু। সাকিব ৩ ওভারে দেন ৩৬ রান।

বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি খুলনা। ঢাকার পক্ষে প্রথম দুটি সাফল্যই এনে দেন রবিউল ইসলাম রবি। জাকির হাসানকে ১ রানে ও সাকিব আল হাসানকে ৮ রানে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান এই স্পিনার।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ধীরগতিতে ২৩ রান (২৬ বল) করেন। মাশরাফি ১ ও আরিফুল ৭ রানে ফিরে যান। সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন শামীম হোসেন। তবে তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২ চার ও ২ ছক্কায় ৯ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন এই তরুণ।

সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখতে দেখতে অর্ধশতক তুলে নেন জহুরুল ইসলাম। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। তবে তার একার এই লড়াই খুলনাকে জেতাতে সক্ষম হয়নি। খুলনা অলআউট হয়েছে ১৫৯ রানে। ফলে ঢাকা পেল ২০ রানের জয়।

ঢাকার পক্ষে রুবেল ও মুক্তার আলি ২টি করে উইকেট শিকার করেন। তবে একাই ৫টি উইকেট শিকার করেন রবিউল ইসলাম রবি। ম্যাচ সেরাও হন তিনি।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *