রোহিঙ্গা গণহত্যা: মিয়ানমারের আপত্তির বিষয়ে আইসিজের রায় আজ

আন্তর্জাতিক লীড

আন্তর্জাতিক ডেক্সঃ রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় মিয়ানমারের আপত্তির ব্যাপারে আজ রায় দেবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে)। গত ফেব্রুয়াারিতে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আদালতে এই আপত্তির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (২২ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায়) এর রায় পড়ে শোনাবেন আইসিজে সভাপতি বিচারপতি জোয়ান ই ডনোগু। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

নিউইয়র্কের গ্লোবাল জাস্টিস সেন্টারের (জিজেসি) সভাপতি আকিলা রাধাকৃষ্ণান মনে করছেন, মিয়ানমারের আপত্তিগুলো ‘যুক্তিসঙ্গতভাবেই’ প্রত্যাখ্যান করবে আইসিজে, যেন এই প্রক্রিয়ার পরবর্তী পর্যায় –দ্য মেরিট ফেজ-এ যাওয়া যায়। ওই পর্যায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বাস্তবিক প্রমাণগুলো বিবেচনা করবে আদালত।

বার্মিজ রোহিঙ্গা অর্গানাইজেশন ইউকের (বিআরওইউকে) সভাপতি তুন খিন বলেন, (মিয়ানমারের) এই আপত্তিগুলো (বিচারপ্রক্রিয়া) বিলম্বিত করার কৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। এ বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে আইসিজে যে দেড় বছর সময় নিয়েছে, তা হতাশাজনক।

তিনি আরও বলেন, গণহত্যা এখনো চলছে। তাই এ বিষয়ে আর দেরি না করার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।

২০১৭ সালে বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে, ধর্ষণ ও হত্যা করে জাতিগত নিধন অভিযান চালায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেসময় নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা। তারা এখনো তাদের জন্মভূমিতে ফিরতে পারেনি।

রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। ওই বছরের ১০-১২ ডিসেম্বর এই মামলায় প্রথমবার প্রাথমিক শুনানি হয়। এতে গাম্বিয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির আইন ও বিচার মন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। আর মিয়ানমারের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি।

২০২০ সালে আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার দলিল দাখিল করে গাম্বিয়া। সেখানে দেখানো হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কীভাবে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে নির্বিচারে গণহত্যার অভিযোগ এনে গাম্বিয়ার করা এ মামলাকে একপর্যায়ে চ্যালেঞ্জ জানায় মিয়ানমার সরকার। সু চি কারাবন্দি থাকায় এ বিষয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত শুনানিতে অংশ নেন মিয়ানমার জান্তার প্রতিনিধিরা।

স্ব.বা/রু

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *