প্রবাসীর ১৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, ভূয়া বিয়ে ও মারধর

অন্যান্য

স্টাফ রিপোর্টার : একটু সুখের আশায় উন্নত জীবন গড়ার লক্ষে বিদেশে পাড়ি দেন পটুয়াখালী ঝিলপাড়া বস্তির পিতা মাতা হারা এতিম মেয়ে মোসাঃ রুপা খাতুন (২৩)।

বিগত ২০১৬ সালে জর্ডান গিয়ে আল হাসান শহরে একটি গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানে ওপারেটর পদে চাকরী করতেন। প্রবাসে দিন গুলো কাটছিলো ভালো। উপার্জন করতো ভালো এবং টাকাও জমাতো অনেক। কিন্তুু তার গড়ে উঠার জীবনের সব কিছু তচনচ করে ভেঙ্গে ফেলে একজন প্রতারক।

প্রতারক মোঃশালমান শাহ ওরফে শালমান (২৬)। পিতাঃ আব্দুস সালাম, মাতাঃ মোসাঃ শিল্পি বেগম। ঠিকানাঃ মেহের চন্ডি বড় দিঘি ২৬ নং ওয়ার্ড চন্দ্রিমা থানাধীন এর সাথে পরিচয় হয় মোবাইল এ্যাপস ইমুর মাধ্যমে প্রবাসী মেয়ে রুপার সাথে ২০১৮ সালের মাঝামাঝী সময়ে।

পরিচয়ের এক পর্যায়ে বন্ধুত পরে প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠে।আর প্রেম সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন অযুহাতে যেমনঃ বাবা এ্যাস্কিডেন্ট, মা অসুস্থ বা নিজের এই ওই কাজের কথা বলে বিকাশ ও ইসলামী ব্যাংক এর মাধ্যমে প্রায় ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নেন। পরে বিয়ের প্রতিশ্রতি দিয়ে টাকা পয়সা নিয়ে দেশে ফিরে আসতে বলে। তদরুপ তার কথা অনুসারে দেশে ফিরে ২০২২ সালের মার্চ মাসে।

আসার সময় সঙ্গে নিয়ে আসে ৩,০০০০০০ টাকা স্বর্নলংকার ৪ ভোরী, ল্যাপটপ ও ৩টি মোবাইল নিয়ে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পোঁছালে তাকে রিসিভ করে প্রতারক শালমান শাহ। সেখান থেকে রওনা করে রাজশাহীর উদ্দেশ্য ।

রাজশাহী এসে বন্ধুদের সাক্ষি বানিয়ে ভূয়া বিয়ে করে সঙ্গে থাকা সব কিছু নিয়ে পালিয়ে যায়। এমন অবস্থা হয় যে তার কাছে গাড়ি ভাড়ারও টাকা নাই। রুপা জীবনের সব কিছু হারিয়ে রাস্তা রাস্তা ঘুরাঘুরীর এক পর্যায়ে প্রতারক শালমান শাহ ঠিকানা খুজে পাই।

ঠিকানা অনুসারে তার বাসায় গেলে জন সম্মুখে বেধরক মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। রুপা এখন জেনেছে সে এর আগে পাবনা কাশিনাত পুরে প্রথম বিয়ে করে, ২য় স্ত্রী রুপা এবং সে আরো একটা বিয়ে করে টিকাপাড়ায়। তার কাছ থেকেও ৩ লক্ষ টাকা নিয়েছে। শুধু তাই নয় শালমান শাহ একজন ছিনতাই কারী। ২০১৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গণকবর এর ওখানে দেশীয় অস্র নিয়ে মতিহার থানা পুলিশের কাছে আটক হয়। এই দূরধর্ষ প্রতারক রুপাকে প্রতিনিয়ত রাজশাহী ছাড়ার ও মুখ না খুলার জন্য প্রাননাশের হুমকি দিচ্ছে এবং তাকে খোজাখুজি করছে। সে সোর্স এই কথা বলে পুলিশ তার নাকি কিছুই করবেনা এসব কথা বলছে।

এমন অবস্থায় রুপা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতারকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে রাজশাহীতে অবস্থান করছে। ভুক্তভোগী রুপার আকুল আবেদন প্রশাসনের কাছে আইনের আওতায় নিয়ে তার ন্যায্য বিচার করার দাবি।

স্ব.বা/ম

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *