তানোরে আলু চাষে উৎপাদন খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ,লোকসানের আশঙ্কায় চাষিরা 

কৃষি
সারোয়ার হোসেন,তানোর: খাদ্য ভান্ডার হিসেবে সুপরিচিত বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীর তানোরে যেদিকে তাকাই সেদিকেই দিগন্ত মাঠ জুড়ে আলুর সবুজ পাতার সমারাহ।দেখে মনে হবে সবুজ চাদরে মাঠ বিছিয়ে দেয়া হয়েছে। কৃষকেরা এখন আলুখেত পরিচর্যায় চরম ব্যস্ত। যেনো দম ফেলার সময় নেই কৃষকের।
গতবছরের লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে আলু চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা। তবে গতবছরের চেয়ে এবছর আলু চাষে উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ বেশী হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন আলু চাষিরা।
জানা গেছে, তানোরে আলু মৌসুমের শুরুতে দেখা দিয়েছিল পটাশ সারের তীব্র সংকট। আর কৃষক বলেছিল এই সংকট কৃত্রিম। কারণ, খোলাবাজারে সার পাওয়া গেলেও দাম ছিল সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে দ্বিগুণ। অন্যদিকে আলু রোপণের সঠিক সময়ে সরকার অনুমোদিত ডিলারদের কাছে মিলেনি সার পটাশ। কৃষকেরা আরও বলছেন, কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় সরকারিভাবে বরাদ্দ করা সিংহভাগ সার কালোবাজারে চলে গিয়েছিল। কালোবাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব সার ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম-জনপদে।
এবার বেশি লাভের আশায় মুদির দোকানদারও অহরহ সার বিক্রি করেছেন। আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকও বেশি দামে সার কিনতে গিয়ে পুঁজি খুজিয়েন। ফলে অনেকেই আলু আবাদের পরিকল্পনা করেও বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবার তানোরে চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর এবং বীজের প্রয়োজন প্রায় ২০ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, এখানো আবহাওয়া অনুকুল রয়েছে।তিনি বলেন, যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে এবার আলুর বাম্পার ফলনের সম্ববনা রয়েছে।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *