মান্দায় আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক

কৃষি

মোঃ রওশন আলম, নওগাঁ: প্রতি বছর অধিক লাভের আশায় আলু চাষ করছেন মান্দা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার স্থানীয় কৃষকরা। আশ্বিন মাসের প্রথম সপ্তাহে আলু চাষ শুরু হয় এ এলাকায়। কিন্তু এবারে দফায় দফায় বন্যার কারণে আলু রোপন করা পিছিয়ে গেছে।আগাম জাতের ধান কাটার পর ওই জমিতে বন্যার পানি এসে তলিয়ে গিয়েছিলো।বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষেত পরিচর্যা করে আলু চাষ করা শুধু হয়ে গেছে উপজেলার প্রতিটি মাঠে মাঠে।

গত বছর বোরো ধান ও চলতি বছর আমন ধানের বাজার কম হওযায় লোকসান গুনতে হয়েছে কৃষকদের। তাই এবারে আলুর দাম ভালো হওয়ায় কৃষকরা আলু চাষে বেশি ঝুকেছে। তাই চলতি বছরের আমন ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে লাভের আশায় আলু চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা।

সরেজমিনে উপজেলার মাঠে মাঠে গিয়ে দেখা যায় কৃষকের পাশিপাশি কৃষানীরাও মাঠে নেমে পড়েছে। সংসারের সব কাজ শেষ করে জমিতে শ্রম দিচ্ছে বাড়তি টাকা আয়ের জন্য। যেন পরিবার পরিজন নিয়ে একটু ভালোভাবে চলতে পারে।

উপজেলায় এবার মাটির প্রকারভেদে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ হচ্ছে কার্ডিনাল, ডায়মন্ড ও দেশি আলু। মাটি বেশ উঁচু ও উর্বর, তাই আলু চাষের উপযোগী। বিশেষ করে ১১ নম্বর কালিকাপুর ইউনিয়নে, ১৪ নম্বর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে, ১০ নাম্বার নুল্যাবাদ ইউনিয়নে সহ প্রায়ই ইউনিয়নে আলু চাষ করা দেখা গেছে। কালিকাপুর গ্রামের আলু চাষি ইমরান সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার ৪ বিঘা জমি রয়েছে তার মধ্যে এবার ২ বিঘা জমিতে আলু চাষ করবো। বাজারে এখন আলুর দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। আলুর দাম যদি এই রকম থাকে তাইলে এবারে ভালো লাভবান হতে পারবে। তবে প্রতিবছরের ন্যায় এবারে আলু বীজের দাম অনেক বেশি প্রতিমন আলুর বীজ কিনতে হচ্ছে ২৪০০/= টাকা মন। তাই আলুর বীজ কিনতে গিয়ে কৃষককে একটু হিমসিম খেতে হচ্ছে। এতো টাকা দিয়ে বীজ কিনে যদি আলুর দাম কমে যায় তাইলে কৃষকের ক্ষতি হয়ে যাবে। তবে এখন যেমন বাজার দর আছে এ রকম থাকলে আশা করা যায় লাভবান হতে পারবো। কিন্তু পরবর্তীকালে আলুর বাজারদর কেমন থাকবে তা নিয়ে চিন্তিত। তিনি আরো জানান এবারে যদি আলুর দাম ভালো পাই তাইলে আগামীতে আর বেশি পরিমাণে ধান-গম চাষ কমিয়ে চাষ করব আলু।

মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকতা শায়লা শারমিন জানান, এবারে মান্দা উপজেলায় এ বছর ২৭২৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলুর লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে । স্বল্প সময়ে আলুর চাষ একটি লাভজনক ফসল। তাছাড়া আলু হিমাগারে রেখে সারা বছর খাওয়া যায় ও বিক্রি করা যায়। আশা করি বাজারদর অনুকূলে থাকলে আলু চাষ করে কৃষক লাভবান হবে। তবে আলুর বীজের দাম বেশি হওয়ায় হতাশায় পরেছে কৃষকরা।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *