তানোরে আলু রোপণে ব্যস্ত কৃষক, খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ 

কৃষি
তানোর প্রতিনিধি: খাদ্য ভান্ডার হিসেবে সুপরিচিত বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীর তানোরে যেদিকে তাকাই সেদিকেই দিগন্ত মাঠ জুড়ে চলছে আলু রোপণের হিড়িক। দিনরাত সমান ভাবে চলছে মাঠজুড়ে আলু রোপণের কাজ। যেন দম ফেলার সময় নেই কৃষকের। তবে গতবছরের চেয়ে এবছর আলু চাষে উৎপাদন খরচ দ্বিগুণ বেশী হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছেন আলু চাষিরা।
জানা গেছে, তানোরে আলু মৌসুমের শুরুতেই দেখা দিয়েছে পটাশ সারের তীব্র সংকট। আর কৃষক বলছে এই সংকট কৃত্রিম। কারণ, খোলাবাজারে সার পাওয়া গেলেও দাম ছিল সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে দ্বিগুণ। অন্যদিকে আলু রোপণের সঠিক সময়ে সরকার অনুমোদিত ডিলারদের কাছে মিলছে না সার পটাশ। কৃষকেরা আরও বলছেন, কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় সরকারি ভাবে বরাদ্দ করা সিংহভাগ সার কালোবাজারে চলে গিয়েছে। কালোবাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব সার ছড়িয়ে পড়ছে গ্রাম-জনপদে।
এবছর বেশি লাভের আশায় মুদির দোকানদারও অহরহ সার বিক্রি করেছেন। আলু চাষে ব্যস্ত কৃষকও বেশি দামে সার কিনতে গিয়ে পুঁজি খোয়াচ্ছেন। ফলে অনেকেই আলুর আবাদের পরিকল্পনা করেও বাদ দিতে বাধ্য হচ্ছে।
কৃষকদের অভিযোগ,তানোরে সার পটাশ নীতিমালা লঙ্ঘন করে বিসিআইসির ডিলার আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী বাবু কৃষকের বরাদ্দের সার গুদাম থেকে না এনে গুদামঘরে থেকেই বেশি দামে বাহিরে বিক্রি করে দিচ্ছেন। আর বিভিন্ন উপজেলা থেকে চোরাই পথে কম দামে সার পটাশ কিনে এনে বেশি দামে বিক্রি করছেন। তাও আবার কৃষকদের কাছে না দিয়ে প্রজেক্টের কাছে বেশি দামে বিক্রি করে দিচ্ছেন সার পটাশ। তানোর পৌর সদরের বিসিআইসির সার ডিলার আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী বাবু বলেন,এবার সারের বরাদ্দ কম,তাই বাহিরে থেকে বেশি দামে সার পটাশ কিনে এনে একটু বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। যা কৃষি অফিসারের অনুমতি দেয়া আছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবার তানোরে চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার ৫৫০ হেক্টর এবং বীজের প্রয়োজন প্রায় ২২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, এখানো আবহাওয়া অনুকুল রয়েছে। যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে এবার আলুর বাম্পার ফলনের সম্ববনা রয়েছে।
Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *