বৃষ্টিতে একাকার জাবি কর্মচারীদের চোখের জল

শিক্ষা

স্বদেশবাণী ডেস্ক:  চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বৃষ্টিতে ভিজে মানববন্ধন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মচারীরা। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

টানা বৃষ্টিপাত উপেক্ষা করে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শতাধিক কর্মচারী। কর্মচারীদের একমাত্র দাবি, স্থায়ী নিয়োগ। এসময় বৃষ্টিতে একাকার হয় তাঁদের চোখের জল।

মানববন্ধনে শেখ হাসিনা হলের মালি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পার ডে ৩৩০ টাকা মজুরিতে কাজ করে মাসিক দশ হাজার টাকাও বেতন হয় না আমাদের। বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে এই টাকায় সংসার চালানো প্রায় অসম্ভব। আমার সঙ্গে যারা স্থায়ীভাবে নিয়োগ পেয়েছিল, তারা তৃতীয় শ্রেণীতে চলে গেছে। এখন তাঁর বেতন বিশ হাজার, আর আমার নয়!

সুফিয়া কামাল হলের হল অ্যাটেনডেন্ট নাঈম বলেন, ‘আমি সাত বছর ধরে আছি। অফিস প্রধানের কাছে গেলে বলে প্রশাসন থেকে কিছু বলছে না। আমরা নিরুপায় হয়ে পেটের দায়ে আজকে এখানে আসছি। আমার মত ১৭০ জন কর্মচারী রয়েছেন। আমাদের একটাই দাবি, স্থায়ী নিয়োগ দিতে হবে।’

এসময় নিজেদের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক কর্মচারী। বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে যায় তাঁদের চোখের জল। যাদের মধ্যে ১৫ থেকে ১৮ বছর ধরে অস্থায়ীভাবে কাজ করছেন অনেকে।

কান্নারত অবস্থায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী হল অ্যাটেনডেন্ট বলেন, ‘আমার স্বামী প্রতিবন্ধী, আমার দুইটা মেয়ে আছে। এই বেতনে সংসার চালানো আমার জন্যে সম্ভব হচ্ছে না আর। এর ওপর একদিন না আসলেই ওদিনের হাজিরা কেটে নেয়, টাকা পাওয়া যায় না। এভাবে আর চলা যায় না।’

এ বিষয়ে জাবি’র উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক বলেন, ‘বিষয়টা আমি দেখছি, কিন্তু আমার একার পক্ষে কোন সিদ্ধান্ত দেয়া সম্ভব নয়। এটা নিয়ে ভিসি ম্যামের সাথে আমি কথা বলবো।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ রাশেদা আখতার বলেন, ‘তাদের নিয়োগ দেয়ার মত পদ এখন খালি নেই। আমরা ইউজিসির সাথে কথা বলে নতুন পদ সৃষ্টি করে তাদেরকে নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করবো।’

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *