চবির অভিযুক্ত মানিক চন্দ্র দাশ সাময়িক বহিষ্কার

শিক্ষা

স্বদেশ বাণী ডেস্ক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কর্মচারী নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে মানিক চন্দ্র দাশকে (বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের গ্রন্থাগার সহকারী) সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।এর আগে, নিয়োগের আশ্বাসে এক নিম্নমান সহকারীর টাকা নেয়ার ঘটনায় টিভিতে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ঘটনা অনুসন্ধানে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চবি কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (৬ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম মনিরুল হাসান বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় এ মামলা করেন। রাত ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রহুল আমিন সবুজ।

তিনি বলেন, মানিক চন্দ্র দাশের বিরুদ্ধে প্রতারণা আইনে মামলা করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, আসামি নিজেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের সেকশন অফিসার পরিচয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতরে রেজিস্ট্রার দফতর, হিসাব নিয়ামক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দফতরে উচ্চমান সহকারী ও উপাচার্য দফতরের অফিস পিয়ন পদে চাকরির কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ করে সে।

মামলায় উঠে এসেছে মাদারীপুরের শিবচর খাড়াকান্দি এলাকার জনৈক রাজিব ফরাজীর কাছ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা, মাকসুদুল সালেহীন ও সোহেল খান থেকে চার লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা বিভিন্ন সময়ে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।

এর আগে, দুপুরে নিয়োগ বাণিজ্যের নামে টাকা নেয়া নিয়ে ঘটনা অনুসন্ধানে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়।

কমিটিকে আগামী ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে শাহ আমানত হলের প্রভোস্ট প্রফেসর নির্মল কুমার সাহাকে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. আহসানুল কবির, কেন্দ্রীয় স্টোর শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার রশিদুল হাসান জাবেদ এবং সদস্য সচিব করা হয় গোপনীয় শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফজলুল করিমকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের গ্রন্থাগার সহকারী মানিক চন্দ্র দাশকে নিয়ে একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয় শনিবার টিভিতে। যেখানে নিয়োগের নামে চাকরি দেয়ার কথা বলে মাদারীপুরের দুইজন এবং ফরিদপুরের একজনের চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে নানা সময় ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন মানিক চন্দ্র। ইতোমধ্য চাকরির টাকা ফেরত চেয়ে মানিকের কাছে লিগাল নোটিশ পাঠান ভুক্তভোগীরা।

স্ব.বা/ম

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *