আইপিএলে খেলবেন না অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা!

খেলাধুলা

স্বদেশ বাণী ডেস্ক:

আইপিএল-২০২০ আয়োজনের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে এবার অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটারদের লিগে পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস আতঙ্কে ইতিমধ্যে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এরপর কবে টুর্নামেন্ট শুরু হবে, তা নিয়ে নিশ্চয়তা নেই।

ভারতে এখন পর্যন্ত ১২০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং তিনজন মারা গেছেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস জানিয়েছেন, অজি ক্রিকেটাররা ব্যক্তিগতভাবে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। এতে খেলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত তারাই নেবে। তবে এ বিষয়ে পরামর্শ দেবে বোর্ড।

বুধবার তিনি বলেন, অবশ্য বিসিসিআই ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটার ওপর সবকিছু নির্ভর করছে। আমরা নিশ্চিত, সবদিক বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এবারের আইপিএলে বিভিন্ন দলে খেলার কথা ১৭ জন অজি ক্রিকেটারের। প্যাট কামিন্সকে রেকর্ড দাম দিয়ে কিনেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার,গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ওপরও নির্ভরশীল তাদের দল।

এদিকে করোনা আতঙ্কে এদিন শেফিল্ড শিল্ড ফাইনাল বাতিল করে নিউ সাউথ ওয়েলসকে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করেছে সিএ। অন্যদিকে দলগুলো বিদেশিদের ছাড়া আইপিএলে খেলতে চাইছে না, তা পরিষ্কার। যত দিন যাচ্ছে, তত ভারতের পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে। ভারতের বিপক্ষে তাদের মাটিতে সিরিজ থেকে যাওয়ার কথা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার কয়েকজন ক্রিকেটারের। তন্মধ্যে ছিলেন কুইন্টন ডি কক, ফ্যাফ ডু প্লেসিস, লুঙ্গি এনগিদি। কিন্তু প্রোটিয়া দলের সঙ্গে কলকাতা থেকে দেশে ফেরার বিমান ধরেছেন তারা। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ) ইতিমধ্যে জানিয়েছে, ৬০ দিন কার্যালয় বন্ধ থাকবে।

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটারদের মধ্যে কে কী করবেন, তা পরিষ্কার নয়।সবাই তাকিয়ে রয়েছেন ১৫ এপ্রিলের দিকে। ওই দিন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে আইপিএল। কারণ, এসময়ে ভারতে আসতে বিদেশিদের ভিসা দেবে না কর্তৃপক্ষ। এরপর বিদেশিরা দেশটিতে আসার ভিসা পাবেন কি-না, তাও তখনকার পরিস্থিতি দেখে ঠিক হবে। আইপিএল যাতে কোনোভাবে বাতিল না হয়, সেজন্য নানারকম ভাবনা ভেবে রেখেছে বিসিসিআই। এর মধ্যে সিঙ্গেল লেগ আছে, রয়েছে মিনি আইপিএলের ভাবনা। দিনে দুটি করে ম্যাচের ব্যাপারটাও গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে। তবে সবটাই নির্ভর করবে করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবা ভারত কতটা সামলাতে পারে, সেটার ওপর।

ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করে কোনোভাবেই খেলা শুরু করা যাবে না। এমনকি দর্শকশূন্য গ্যালারি, রুদ্ধদ্বার স্টেডিয়ামেও (ক্লোজড ডোর) নয়। মুম্বাইয়ে বিসিসিআই’র কার্যালয়ও বন্ধ করা হয়েছে। ঘর থেকে কর্মীরা কাজকর্ম সারছেন। কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সেদিকে তাকিয়ে সবাই।

তথ্যসূত্র:এইসময়।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *