নাটোরের আমের কদর দক্ষিণাঞ্চলে, বৈরী আবহাওয়ায় কেনাবেচায় ভাটা

কৃষি
আল-আফতাব খান সুইট, নাটোর: ক্ষতিকর রাসায়নিক মুক্ত হওয়ায় নাটোরের বাগাতিপাড়ার তমালতলা আম মোকাম থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার কেজি আম দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।  ঘুর্নিঝড় আম্ফান কবলিত দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এলাকাগুলোতে নাটোরের আমের কদর বেড়েছে।  তবে আম চাষীদের রয়েছে দাম না পাওয়ার অভিযোগ। কয়েকদিনের বৈরী আবহাওয়ায় কমে গেছে আমের বেচাকেনা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আমের মৌসুমে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চাষী ও আড়ৎদারদের কর্মচাঞ্চলে মুখর থাকে তমালতলা আম মোকাম। এখানকার অর্ধশত আড়তে প্রতিদিন কেনাবেঁচা হয় লকনা, খিরসাপাত, ল্যাংড়াসহ বিভিন্ন জাতের আম। আম আহরণের সময় বেঁধে দেয়ায় বাজারে এই তিনটি আমেরই রাজত্ব এখন। গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী, বরিশাল, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মহাজনরা আম কিনতে আসেন তমালতলায়। তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন সংশ্লিষ্ট আড়ৎদাররা।
চলতি মৌসুমে নাটোর জেলায় ৫৫২০ হেক্টর বাগানে আম চাষ হয়েছে যা থেকে কৃষি বিভাগ ৮০ হাজার মেট্রিক টন আম আহরণের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছিলো। তবে গত ২০শে মে ঘুর্নিঝড় আম্ফানের কারণে ১৩৪ হেক্টর জমির আম নষ্ট হওয়ায় এবার চাষীরা প্রত্যাশিত পরিমাণ আম বিক্রি করতে পারছেন না। তবে চাষীরা যতটুকু আম আহরণ করেত পেরছেন, ততটুকু বিক্রি করতে পারলেও অসন্তোষ রয়েছে দাম নিয়ে।
ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বর্তমান আমের যা মূল্য তা বৃদ্ধির দাবী তাদের।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আম ক্রেতারা বলেন, নাটোরের বাগাতিপাড়ার আমের মান ভালো হওয়ায় তারা প্রতি বছর তমালতলা আমের আড়তে আসেন।
তমালতলা বাজার আড়ৎদার সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুইট সরকার বলেন, করোনা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমের বেচাকেনা কমছে।
নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষি কর্মকর্তা সুব্রত কুমার সরকার দাবী করে বলেন, প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ আমের বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করায় চাষীরা আমের দাম পাচ্ছেন।
নিরাপদ আম বাজারজাতকরণে বাজার মনিটরিংসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে বলে জানান নাটোর জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ।

স্ব.বা/বা

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *