স্বদেশ বাণী ডেস্ক : টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যে কোনো মুহূর্তে দায়িত্ব হারাতে পারেন, এমন গুঞ্জনে এখন সরব ক্রিকেট পাড়া। আর মাত্র দিন তিনেক পরই জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে উড়াল দেবে বাংলাদেশ। অথচ এখনো চূড়ান্ত হয়নি স্কোয়াড। সবকিছু আটকে আছে মাহমুদউল্লাহর ভাগ্যের ওপর। যা নির্ধারণ হতে পারে আজ (শুক্রবার)।
জানা যাচ্ছে, অধিনায়কত্ব ইস্যুতে বিসিবির কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টাইগারদের ক্রমাগত ব্যর্থতা বিশ্বকাপের আগে ভাবাচ্ছে সমর্থকদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের এক ম্যাচ ভেস্তে গেছে বৃষ্টিতে। বাকি দুই ম্যাচে প্রতিরোধবিহীন হেরেছে বাংলাদেশ। তার ওপর শেষ ম্যাচে বোলিং আক্রমণ সাজানো নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্ব নিয়ে। দল তো বাজে খেলেছেই তার চেয়েও বাজে অবস্থা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটের। ক্রমাগত বাজে খেলে যাওয়া অধিনায়ক পারছেন না দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে। তাই চাপ বাড়ছে অধিনায়ক পরিবর্তনের।
এদিকে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অনেকেই মাহমুদউল্লাহকে সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব আনার পক্ষে। তবে বোর্ড নিজে থেকে সরাতে চায় না, আলোচনার মাধ্যমে মাহমুদউল্লাহর মুখ থেকেই বের করতে চায় বিদায়ের ঘোষণাটি।
সফরে থাকায় এতদিন বিসিবি অধিনায়কত্ব ইস্যুতে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেনি। তবে বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ফিরেছেন দেশে। এদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজেরও খুব বেশি সময় বাকি নেই। দল ঘোষণার আগেই এ সংস্করণের অধিনায়কত্ব ইস্যু নিয়ে আলোচনা সেরে ফেলতে চায় বিসিবি।
গুঞ্জন রয়েছে, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জায়গায় সাকিব আল হাসানকে টি-টোয়েন্টির নেতৃত্ব দেয়া হতে পারে। যদিও সাকিব ব্যক্তিগত কারণে ছুটি নেয়ায় জিম্বাবুয়ে সফরে যাবেন না। এজন্য বিসিবি চাইছে মাহমুদউল্লাহকে দিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজটা শেষ করতে। তবে যে গুঞ্জন আছে, অধিনায়ক ছাড়তে হলে জিম্বাবুয়েতেও দায়িত্ব নেবেন না বর্তমান অধিনায়ক। এজন্য ভেতরে ভেতরে সাকিবকে ফেরানোর চেষ্টা চলছে বলেও খবর।
বিসিবির একজন পরিচালক কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, মাহমুদউল্লাহ গত পাঁচ বছরে এমন কী করেছে যে টি-২০ দলে রাখতে হবে। নিজেরা তো পারফর্ম করছেই না, উল্টো দলকে এলোমেলো করে দিচ্ছে। নিজেরা টিকে থাকার জন্য জুনিয়রদের সব সময় চাপে রাখে তারা। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিতে এত ভয় কিসের? ওকে জিম্বাবুয়ে সফরে নিতে হলে বিশ্বকাপ দলেও থাকবে। তেমন কিছু ঘটলে খুবই খারাপ হবে।
স্ব.বা/ম