রামেবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ উদযাপিত

শিক্ষা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর, ২০২৩) রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২৩’ উদযাপন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল, শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।
এদিন সকালে রামেবি’র অস্থায়ী কার্যালয়ে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে রামেবি কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি রামেবি কার্যালয় থেকে বের হয়ে প্রধান সড়ক হয়ে জিপিওর সামনে দিয়ে ঐতিহ্য চত্বর প্রদক্ষিণ করে আবার রামেবি’তে এসে শেষ হয়।

এরপর সকাল ১১টায়  রামেবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রুস্তম আলী  আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় শহীদ শেখ রাসেলের জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন, রামেবির রেজিস্ট্রার (অ.দা) ডা. মো: জাকির হোসেন খোন্দকার, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ইঞ্জিনিয়ার মো: সিরাজুম মুনীর, উপ- কলেজ পরিদর্শক ডা.  জোহা মোহাম্মদ মেহেরওয়ার হোসেন, সহকারী রেজিস্ট্রার (চ.দা.) মো: রাসেদুল ইসলাম,  সেকশন অফিসার শাকিল আহমেদ প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন জনসংযোগ শাখার সেকশন অফিসার জামাল উদ্দীন। এসময় লিয়াজোঁ ও প্রটোকল অফিসার ইসমাঈল হোসেন, সহকারী কলেজ পরিদর্শক (চ.দা) মো: নাজমুল হোসেন, সহকারি প্রোগ্রামার ফারজানা ফাইজাসহ রামেবির সকল কর্মকর্তা কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় রামেবি’র কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রুস্তুম আলী আহমেদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল কালরাতে বাংলাদেশের কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের বুলেটের গুলিতে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের সাথে অবুঝ শিশু রাসেলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাকে বাবা, মা, দুই ভাইসহ পরিবার প্রতিটি লাশ দেখিয়ে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট ভাইয়ের সব স্মৃতিকে এক করে ‘আমাদের ছোট রাসেল সোনা’ নামে একটি বই লিখেছেন । বইটিতে শেখ রাসেলের জন্মগ্রহণ থেকে শুরু করে ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হওয়া পর্যন্ত জীবনের খুঁটিনাটি তুলে ধরেছেন তিনি। বইটি থেকে শেখ রাসেলের অনেক গুণাবলির তথ্য আমরা জানতে পারি। শিশু বন্ধুদের প্রতি রাসেলের অপরিসীম ভালবাসা ছিল চোখে পড়ার মতো। ছোট্ট রাসেল গ্রামে গেলে দরিদ্র শিশু বন্ধুদের জন্য উপহার সামগ্রী ঢাকা থেকে নিয়ে যেতেন। এছাড়া তিনি কোন প্রটোকল ছাড়াই বাইসাইকেলে করে প্রতিদিন স্কুলে যেতেন। শেখ রাসেল ছিলেন অত্যন্ত রাজনৈতিক সচেতন। পরিবারের রাজনৈতিক আলোচনা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতেন তিনি।

তিনি আরো বলন, শিশু-কিশোর তরুণদের কাছে শেখ রাসেল একটি ভালোবাসার নাম, একটি আদর্শের নাম। শেখ রাসেলের জীবনের প্রতিটি গল্প এদেশের শিশু-কিশোর, তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি ইতিহাসের মহাশিশু হিসেবে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।

আলোচনা শেষে শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধুসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল কালরাতে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন রামেবির কর্মচারী মো: শরিফুল ইসলাম।

 

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *