স্টাফ রিপোর্টার:
রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে সদ্য ৬ জন কর্মকর্তার পদোন্নতি নিয়ম মেনে হয়নি এমন অভিযোগের বিষয় নিয়ে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান চালিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পদ না থাকলেও ওই কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক। এনিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে তদন্তে আসে দুদকের একটি প্রতিনিধি দল। তদন্ত শেষে দুদক রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আলম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তদন্তে প্রমান মিলেছে পদোন্নতির বিষয়ে। এছাড়া শিক্ষাবোর্ডটিতে বেশ কিছু কর্মকর্তাকে দায়িত্বরত বা অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যা কর্মকর্তাদের স্ব-স্ব নেমপ্লেটে রয়েছে। সেগুলো অপসারণের জন্য বলা হয়েছে।
পদোন্নতি প্রাপ্ত বোর্ডের কর্মকর্তারা হলেন- উপ-সচিব (ভান্ডার) (চ:দা:) (উপকরনাদি শাখা) মো. ফরিদ হাসানকে পদোন্নতি দিয়ে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (জে.এস.সি), উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (স্ক্রীপ্ট) (চ:দা:) রুবীকে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (স্ক্রীপ্ট), উপ-সচিব (ভান্ডার) (চ:দা:) মোহা. দুরুল হোদাকে উপ-সচিব (ভান্ডার), সহকারী সচিব (প্রশাসন) খোরশেদ আলমকে উপ-সচিব (প্রটোকল), সহকারী ক্রীড়া অফিসার মো. নুরুজ্জামানকে উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক (রেজি.) ও গণসংযোগ অফিসার সুলতানা শামীমা আক্তারকে লাইব্রেরি এন্ড ইনফরমেশন ডকুমেন্টশন অফিসার হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান পরবর্তী বোর্ড মিটিংয়ে এটি পাশ করা সাপেক্ষে নিজ ক্ষমতাবলে এদের পদোন্নতি দেন।
উক্ত পদোন্নতির বিরধিতা করে এতদিন এটি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন অত্র বোর্ডের পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তারা। এটির বিরধীতা করে আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশও পাঠিয়েছিলেন খুব্ধ কর্মকর্তারা। তাদের পক্ষথেকে অভিযোগ ছিলো মনগড়া পদ তৈরি করে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের এই ৬ জন কর্মকর্তার। আরও অভিযোগ ছিলো চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহা. মোকবুল হোসেন শিক্ষাবোর্ডের বোর্ড মিটিংয়ে পাশ না করিয়ে নিজ ক্ষমতা বলে তাদের পদোন্নতি দিয়েছিলেন। এ নিয়ে শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও সচিব প্রকাশ্যে দন্দে লীপ্ত হন। আর এ কারনে সচিব বেতনসিটে স্বাক্ষর না করায় কর্মকর্তাদের বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে য়ায়। যদিয় এটি পরে সাভাবিক হয়।
জানা গেছে, শিক্ষাবোর্ডে ৬ জন কর্মচারীর পদ-পদবী ও প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। নতুন পদোন্নতি প্রাপ্তরা কিভাবে ৭ম গ্রেড থেকে ৬ষ্ট গ্রেড বাদ দিয়ে সরাসরি ৫ম গ্রেডে বেতন কাঠামোতে যায় এনিয়েও বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। যা রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে সভার আগেই অফিস আদেশে ৬ জনকে পদোন্নতি দেওয়ায় সচিবসহ ঊর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তারা বিস্মিত ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এসব বিষয়ে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহা. মোকবুল হোসেন দেশের বাইরে থাকায় তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্ব.বা/বা