১৫৮ লক্ষ্যে নেমে শুরুতেই ফিরলেন লিটন

খেলাধুলা

স্বদেশ বাণী ডেস্ক : চলমান বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ১৫৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে জেমকন খুলনা। শরিফুল-মুস্তাফিজের দারুণ বোলিংয়ের সামনে চাপে পড়লেও শেষদিকে শুভাগত হোমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় জেমকন খুলনা। জবাবে নেমে শুরুতেই লিটনকে (৪) হারিয়েছে চট্টগ্রাম।

হোম অব ক্রিকেট মিরপুরে মঙ্গলবার রাতের ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামেন জহুরুল ইসলাম ও জাকির হাসান। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৩ রান তোলেন জাকির-জহুরুল জুটি। চট্টগ্রামের বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলামের শর্ট বলে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ মিঠুনের হাতে ক্যাচ দিয়ে জাকির বিদায় নিলে ভাঙ্গে এ জুটি। ১৫ বলে ১৫ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার।

নিজের পরের ওভারে এসে জহুরুল ইসলামের উইকেটটিও তুলে নেন শরীফুল। শরীফুলের বাউন্সারে হুক করতে গিয়ে বদলি ফিল্ডার সৈকত আলীর হাতে ক্যাচ দেন জহুরুল (১৯ বলে ২৬)।

এরপরই চমকে দিয়ে চার নম্বরে মাঠে নামেন এ টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা মাশরাফি বিন মুর্তাজা। সঙ্গে ছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত ১ রান করে রান আউট হয়ে যান ম্যাশ। স্পিনার রাকিবুল হাসানের বলে সাকিব ড্রাইভ করলে তা রাকিবুলের হাতে লেগে নন স্ট্রাইকিংয়ের স্টাম্পে আঘাত করে। তখন মাশরাফি ক্রিজের বাইরে থাকায় তাকে সাজঘরে ফিরতে হয়। ফলে পরপর দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে জেমকন খুলনা।

এহেন অবস্থা ভরসা ছিল সাকিবের ওপর, তবে এ ম্যাচেও জ্বলেনি সেরা অলরাউণ্ডারের ব্যাট। একটি ছক্কা মারলেও ১৫ রান করে ফিরেছেন সাজঘরে। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বলে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব।

পঞ্চম উইকেটে ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দুজন মিলে গড়েন ৪৩ রানের জুটি। বেশ দ্রুত গতিতে রান তুলছিলেন রিয়াদ। চাপ সামলে জেমকন খুলনা যখন বড় স্কোরের অপেক্ষায় তখন সব এলোমেলো করে দেন মুস্তাফিজ-শরীফুল। মুস্তাফিজের বলে পুল করতে গিয়ে আকাশে তুলে দেন কায়েস (২৪)। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ লুফে নেন মুস্তাফিজ।

পরের ওভারেই দারুণ এক ডেলিভারিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে বোল্ড করে দেন শরীফুল। কায়েস ২৩ বলে ২৪ রান ও রিয়াদ ১৭ বলে ২৬ রান করেন।

পরের ওভারে ফেরত এসে শামীম হোসেনের উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। ১০৯ রানে ৪ উইকেট থেকে ১০ রান নিতে গিয়ে আরও ৩ উইকেট হারায় জেমকন খুলনা। বড় ইনিংস খেলতে পারেননি আরিফুল হকও। জিয়াউর রহমানের বলে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন ৬ রান।

শেষদিকে ১৪ বলে ৩২ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন শুভাগত হোম। শেষ ওভারের প্রথম বলে শুভাগত হোমকে স্ট্রাইক দিতে গিয়ে রান আউট হন হাসান মাহমুদ। তবে শুভগতের কল্যাণে শেষ ওভারে রান হয় ১৪টি। যাতে দেড় শতাধিক রানের পুঁজি পায় খুলনা। শরিফুল ৩৪ রানে তিনটি এবং মুস্তাফিজ ৩৬ রানে ২টি উইকেট লাভ করেন।

Spread the love

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *